আজ সোমবার, ২২শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

তৈমূরের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের বিএনপি

তৈমূরের অভাব

তৈমূরের অভাবসংবাদচর্চা ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে রায় হবার পর নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বিএনপি। রায়ের পর ৪ দিন অতিবাহিত চললেও একটি মিছিল, প্রতিবাদ কিংবা কেন্দ্রীয় কর্মসূচী অনুযায়ীও মাঠে নামতে পারেনি জেলা কিংবা মহানগর বিএনপি। জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানকে তো রায়ের সপ্তাহখানেক আগে থেকেই খুঁজে পায়নি দলটির নেতাকর্মীরা।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে দলের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের দায়িত্বজ্ঞানহীন অবস্থা, নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ না রাখা এবং দলের সাধারন সম্পাদক মামুন মাহমুদ রাজপথে না থেকেও গ্রেফতার হওয়াতে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। দলের শীর্ষ নেতাদের এহেন অবস্থায় কর্মীদের মতে বর্তমান সভাপতি সাধারন সম্পাদকের চাইতে আগের সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ছিলেন হাজারগুনে দলপ্রেমী ও রাজপথের নেতা। তিনি যেমন নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন তেমন আন্দোলন সংগ্রামের প্রতিটি কর্মসূচীতে মাঠে থাকতেন।
তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপির বিগত ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালের যখন গুলি করতো পুলিশ, সেই গুলির সামনেই দলের প্রতিটি হরতাল অবরোধে মাঠে ছিলেন। নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরের খানপুর, চাষাঢ়া, মন্ডলপাড়া, নিতাইগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে মিছিল করে পুলিশের সাথে তার নেতাকর্মীদের হয়েছে ব্যাপক সংঘর্ষও। তবুও রাজপথে ছেড়ে যাননি তৈমুর এবং বন্ধ রাখেননি তার মোবাইল।
দলের এই অবস্থায় এসে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী ঘোষণা আসলেও দলের সেই কর্মসূচী পালনে মাঠে দেখা মেলেনা বহু দল পাল্টানো জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান,সংস্কারপন্থী মহানগর সভাপতি আবুল কালামসহ শীর্ষ নেতাদের। কাউকে খুঁজেও পায়না দলের কর্মীরা। অপরদিকে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিদিন মিছিল সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন, দলের নারায়ণগঞ্জের মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের জামিনের জন্য কাজ করছেন। শুধু তাই নয় ৮ তারিখ খালেদা জিয়ার রায়ের দিনও নেত্রীর গাড়ির সাথেই ছিল তার অবস্থান।
দলের সাধারন একজন ছাত্রদলের কর্মী সাইদ রেজা সামাজক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, দলের এই দুঃসময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে তৈমুর আলম খন্দকার ভাইয়ের নেতৃত্বকে চরমভাবে মিস করছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। একজন কর্মী হিসেবে তৈমুর ভাইয়ের কাছে আমার অনুরোধ জেলায় আপনার কোন দায়িত্ব না থাকলেও নেত্রীর এই দুঃসময়ে আপনি এবং আপনার পরিবারকে আমরা পাশে চাই। জেলায় আপনি নিজে থেকে যে কোন কর্মসূচী ঘোষণা করলে পূর্বের ন্যায় হাজার হাজার নেতাকর্মী রাজপথে নামতে প্রস্তুত আছে ইনশাআল্লাহ।
এমনভাবেই দলের জেলার হাজারো নেতাকর্মী এখন তাদের নেতৃত্ব দেয়ার মত কাউকে খুঁজে না পেয়ে আবারো তৈমুর আলম খন্দকারকেই নিজেদের আস্থার অবস্থানে ফিরে পেতে চাইছেন। তাদের মতে, যারা দায়িত্ব পেয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারেনা তাদের মত নেতার চাইতে তৈমুর আলম খন্দকারই অনেক ভালো। তাদের কাছে দলের এই বর্ষীয়ান নেতার অভাববোধ ব্যাপকভাবে নেতাকর্মীদের মনকে তাড়া করছে।
তবে বসে নেই তৈমূর।চষে বেড়াচ্ছেন রুপগন্জ ও নারায়নগন্জ্ঞ।আইনজীবি সমিতি থেকে সিনেট নির্বাচনেও ছিলেন সক্রিয়।খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে থানায় থানায় দায়ের করা মামলার সকল আসামী নেতাকর্মীর বিনা খরচে জামিনের ঘোষনা দিয়ে লবিং গ্রুপিং নির্বিশেষে জামিন করানো শুরু করেছেন।তাছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে হাইকোর্টে অনুণ্ঠিত প্রত্যেকটি কর্মসূচীর সভাপতিত্ব করছেন এ্যাড:তৈমূর আলম খন্দকার।